অনেকে মনে করেন, চোখ হলো মনের আয়না। মনের ভালো-মন্দ চোখ দেখেই বুঝে নেয়া যায়। তবে শুধু মন নয়, চোখ শরীরেরও আয়না। তাই চিকিৎসকের কাছে গেলে পালস, প্রেশার মাপার পাশাপাশি চোখ আর জিভও পরীক্ষা করে দেখেন তারা।
তবে চোখের কথা বোঝার জন্য চিকিৎসক হওয়ার দরকার নেই, শুধু পদ্ধতিটা জানতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাই প্রেশারের কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি তো আছেই, আবার উচ্চ রক্তচাপে প্রভাবিত হয় চোখও। এক্ষেত্রে চোখের রেটিনায় যে রক্তনালিগুলো থাকে, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি’।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় ধরা পড়ে, এই সমস্যার সঙ্গে যোগ আছে স্ট্রোকের। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ‘হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্তদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।
উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ
◾দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
◾বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ অনুভব করা
◾শ্বাসকষ্ট বা নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
◾নাক দিয়ে রক্ত পড়া
◾মাথাব্যথা
◾মাথা ঘোরা
◾অনিদ্রা ও ক্লান্তি
◾প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া
◾শরীরের অঙ্গ বিশেষের দুর্বলতা বা অবশ হয়ে যাওয়া
◾অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
◾অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ক্ষেত্রে খিঁচুনি হতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।